1. sm.khakon@gmail.com : admin :
  2. rayhansumon2019@gmail.com : rayhan sumon : rayhan sumon
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন

সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের সমালোচনা করা

ইমতিয়াজ আহমেদ লিলু
  • রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫১৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে আপনার কথা বলার অধিকার রয়েছে। আপনি যে কোন কাজের সমালোচনা করতে পারেন, তবে তা অবশ্যই গঠনমূলক সমালোচনা হতে হবে।

যদি গঠনমূলক না হয় তাহলেই সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির সৃষ্টি হয়। তাই যে কোন উন্নয়নমূলক কাজের বা কোন ব্যক্তির সমালোচনা গঠনমূলক ভাবে করা উচিত।

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাই তার স্বভাব। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের সমাজের আশেপাশে তাকালেই আপনি দেখবেন, এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা সব সময় অন্যের সমালোচনা করে বেড়ায়।

কিন্তু তারা কখনোই নিজের সমালোচনা করতে পারে না। আপনি সমাজের জন্য ভালো কাজ করতে গেলেই তারা আপনাকে নিয়ে প্রথমেই সমালোচনা শুরু করে দিবে। অথচ এই সমালোচনাকারীরা নিজে কোন কিছুই করতে পারে না অন্যের সমালোচনা ছাড়া।

যে ব্যক্তি অন্যের ভালো দেখতে পারে না, সে কোনদিন সমাজের কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারে না। তার কাছ থেকে দেশ,জাতি ও সমাজ কোন ভাল কিছু আশা করতে পারে না।

যে ব্যক্তি নিজের সমালোচনা করতে পারে সেই ব্যক্তি ই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির কল্পনা করুন যে আপনার চুল, পোষাক, কাজ, ইত্যাদি আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের সমালোচনা করে।

এই প্রকৃতির সমালোচনাটি একটি শক্ত ভিত্তি নেই, তবে তারা খুব বেদনাদায়ক হতে পারে। এই ধরনের সমালোচনাগুলিতে সমালোচনা উপেক্ষা করা প্রয়োজন।

যদি আপনার কারো বিষয়ে সমালোচনা করতে ইচ্ছা হয় তাহলে তার সম্পর্কে ভালো কিছু ভাবুন। সব সময় ই ইতিবাচক চিস্তা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে নিয়ে আসে।

নিরপেক্ষ লোকের আলোচনা-সমালোচরা থেকে কাজের মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কারণ আপনার পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনা না থাকলে আপনি আপনার কাজের ভালমন্দ মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হবেন এবং এক সময় এ ব্যর্থতার দায় অনেক বড় আকারে শোধ করতে হতে পারে।

আর এরকম নিরপেক্ষমূলক সমালোচনার কাজটি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থেকেই আসে। সমাজের দক্ষ, জ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণের সমালোচনাই কাজে আসে।

গুণীজনরা বলেন, সমালোচনা করতে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়না, যে কেউ সমালোচনা করতে পারে। সমাজের সবচেয়ে অযোগ্য মানুষ গুলোরই প্রধান হাতিয়ার হলো অপরের ভালো-মন্দ সবকিছুতে নির্বিচারে সমালোচনা করা।

অপরদিকে সমালোচিত হতে হলেও যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। কেউ যখন তার যোগ্যতা দিয়ে নতুন বা উদ্ভাবনী কিছু করবে তখন ই একদল অযোগ্য লোকের আতে ঘা লাগে এবং সমালোচনা শুরু করে।সমালোচনা মানুষকে সাময়িক সুবিধা দেয়, তবে তা মানুষের ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে দেয়।

জার্মান সেনাবাহিনীতে অসাধারণ একটা নিয়ম চালু আছে। সৈনিকদের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে অথবা কোন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে কোন রকম অভিযোগ তারা করতে পারবে না এবং কারো সমালোচনাও তারা করতে পারবে না। সমালোচনা বা অভিযোগ করলেই তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়।

তাদের নিয়ম হচ্ছে, কোন ঘটনা ঘটলেই প্রথমে তাকে বলা হয় নিজের রাগ ক্ষোভ কমাতে অথবা মাথা ঠান্ডা করতে। এর জন্য তাদেরকে সময় দেয়া হয়। ভাবতে বলা হয়। পরে সমস্যা সমাধান করা হয়।

আমাদের দেশের বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদরা যদি এই গুণে গুণান্বিত হতো মন্দ হতো না। ভালো কে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলার সৎ সাহস থাকতে হবে। তবেই সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।

লেখক-

সিনিয়র সহসভাপতি 

বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
বানিয়াচং মিরর  © ২০২৩, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD