হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে অনলাইন বিষয়ক জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ এ প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (২৬ মে ) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হাসান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মাওলানা আতাউর রহমান,
বানিয়াচং উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন, মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা কামরান হাসান রুবেল প্রমুখ।
এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এলাকারগণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল হাসান বলেছেন সেবা প্রত্যাশিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমি ভূমির যাবতীয় সেবা প্রদান করার চেষ্ঠা করে থাকি। তিনি ভূমি সংখ্যান্ত যেকোন সহযোগিতার জন্য সেবাগ্রহিতা নিজেরা অফিসে যাওয়ার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেছেন, এখন ঘরে বসে মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে নামজারির আবেদনসহ ভূমির যাবতীয় খাজনা পরিশোধ করা যায়। তার পরেও নিজেরা না পারলে নিজনিজ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভূমি সংখ্যান্ত যাবতীয় আবেদন অনলাইনে করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন এখন ও আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে যা শোনার পরও প্রমাণ না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়না। তাই নিজের কাজ নিজে করার আহবান জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-২(বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, দেশের মানুষ অনুপাতে গড়ে জনপ্রতি ১৪ শতাংশ যায়গা রয়েছে। ফসলী জমি রক্ষা করতে ইতিমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন নামে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে আর কেউই ফসলী জমির শ্রেণী পরিবর্তন করতে পারবেন না।
দেশকে খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন এক চিমটি জায়গা ও পতিত রাখা যাবে না। তিনি আরো বলেন এক সময় ভূমির কাজে এসেই সাধারন মানুষ বেশী হয়রানির শিকার হতো। বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনের ভালো কর্মকর্তাদের কারণে অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশীরা বেশী হয়রানির শিকার হয়।
ইউএনও ও এসিলেন্ড দুইজন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের কাজের নিয়মিত মনিটরিং করে সেবার মান আরো বৃদ্ধি করার আহবান জানান তিনি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply