আমাদের ভেতরে রয়েছে চমৎকার হাজারো স্বপ্নের বাড়ি। আমরা সারাদিন যা-ই করি না কেনো , বেলা শেষে স্বপ্নের বাড়িগুলাকে সাঁজাতে ঠিকই কল্পনার নকশা আঁকি।
স্বপ্নের জাল বুনে যাই। স্বপ্নের বাড়ি যে বড্ড সুন্দর। সেখানে কোনো বিপক্ষদল নেই। নেই কোনো বাঁধা -বিপত্তি। ইচ্ছেমতো সাঁজানো যায়। যা চাই তাই পেয়ে যাই। ভেতরের স্বপ্নটাকে যখন বাহিরে নিয়ে আশার চেষ্টা করি তখনই শুরু হয় সংগ্রাম। আর তখন আমাদের দীর্ঘ স্বপ্নটা সংগ্রামের ভয়ে ছোট হতে থাকে।
প্রতিদিন একটা একটা করে স্বপ্নের বাড়ি ভাঙে। মেনে নেই। খোঁজে নেই বিকল্প পথ। খোঁজে চলি শর্ট কার্ট ওয়ে।অনেক সময় সেখানেও ব্যর্থ হয়ে পড়ি। তারপর সব ব্যর্থতার বুঝা ভাগ্যের উপর চাপিয়ে দেই। ডুকে যাই গন্ডির ভেতরে।
আসলে আমার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আজ যদি আমি থেমে যাই থেমে যাবে আমার পরিবার।সময়ের এমন চাকায় দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে পা পিছলে গেলেই মহাসমুদ্রে পড়ে যেতে হবে। ধৈর্য আর পরিশ্রম নিয়ে এগিয়ে গেলে হয়তো স্বপ্নের বাড়িটাকে বাস্তবে দেখতে পারবো।
জীবনে ধৈর্য আর পরিশ্রম ছাড়া সফলতা কখনো আসে না। আর ভাগ্য সে-ই পরিশ্রমিদের কথা বলে। শর্ট কার্ট রাস্তা হয়তো ব্যতিক্রম কিছু ক্ষেত্রে কেউ সফলতা পেয়ে যায়। কিন্তু সফলতার রাস্তায় হাঁটার অস্ত্র ধৈর্য আর পরিশ্রম।
দেখুন সে-ই স্বপ্নবাজ তরুণদের,কত সাগর,বন পাড়ি দিয়ে মৃত্যুকে বুকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নত দেশে পাড়ি জমায়। তার মধ্যে অনেক তাজা প্রাণ ঝড়ে যায়। তা জেনেশুনেও আবারও মানুষ ওই অনিশ্চিত যাত্রায় পাড়ি জমায়। যদিও আমি ওই যাত্রাকে সাপোর্ট করি না।
এই পরিশ্রমটাই যদি দেশের ভেতরে ধৈর্য নিয়ে কোনো একটা সেক্টর ধরে কাজ করে যেতো। সফলতা তার পায়ে এসে মাফ চেয়ে নিতো। আমাদেরকে স্বপ্নের জায়গায় বাস্তবতার পরিশ্রমি হাতটাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
নিজের জীবনে সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হচ্ছে নিজের অলস মনের সাথে সংগ্রাম। সেখানে জিতে যান। সফলতা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।
স্বপ্নবাজ তরুণরা চাইলেই পদাঘাতে পাথর ভাঙতে পাড়ে। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ২১ বছর বয়স জীবনে লিখা ১৮ বছর বয়স কবিতাটা অনেক স্বপ্নবাজকে জাগিয়ে রাখে। জাগিয়ে তুলে কবি নজরুলের যৌবনের গান কবিতা।
হে স্বপ্নবাজ তরুণ,আপনার পরিশ্রমে গড়া দক্ষতাই আপনার যোগ্যতার মাপকাটি। এগিয়ে চলুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের অলসহীন পথে।
লেখক —
পরাণ দেব
লন্ডন প্রবাসী
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply