বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে দেয়া ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুদান আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
তবে বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করে অনুদানের টাকা কেন্দ্রীয় নেতবৃন্দের উপস্থিতিতে বন্টন করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন সেক্রেটারী ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম।
সোমবার (৩জুলাই) রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’কে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি জানান, অনুদান সুষ্ঠভাবে বন্টন করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই সংগঠনের এক কর্মী দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’কে জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরির করে স্থানীয় বা জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা বিতরণ করে উপকারভোগীদের ভোটার আইডি এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মাস্টাররোল তৈরি করার কথা থাকলেও করা হয়নি এর কোনটাই। ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে নিজের লোকদের ফোন নাম্বার বসিয়ে পুরো টাকাই আত্মসাত করেছেন রেডক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হবিগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগীতার কথা জানতে চাইলে এমন কোন সহযোগীতা কেউ পায়নি বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
এ ছাড়াও অনুদান প্রদানের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ এর পর আগে বা পরে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আংশিক অঞ্চল ছাড়া অন্য কোন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেনি বলে জানা গেছে।
বিষয়টি অবগত করে সত্যতা জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট (জেলা পরিষদের প্রশাসক পদাধিকার বলে) ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’কে বলেন, আমার জানামতে এমন কোন অনিয়ম হয়নি। তবে আমার ব্যস্থতার জন্য আমি সরেজমিনে থাকতে পারি না। তবে আমি নিয়মিত গাইড-লাইন করি। সার্বিক বিষয় দেখাশুনা করেন সেক্রেটারী।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন ডিজাস্টার রেসপঞ্চ বিভাগের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply