তথ্য জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তির আবেদনের অভিযোগ উঠেছে বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিনের বিরুদ্ধে।
এর আগে গত ১৯ জুন এমপিওভুক্তির আবেদন ফেরৎ পাঠানোর জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত চিঠি প্রেরণ করেন বানিয়াচং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল হক।
সুত্র জানায়, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন ২০১২ সালে শিক্ষক শঙ্কটের সুবাদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন জাকির হোসেন
মহসিন। পরে ২০১৭ সালে সরকারী নীতিমালা অনুসারে এমপিও অন্তর্ভুক্ত হয় এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এমপিওভুক্তির পর ওই শিক্ষকের তথ্য জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসলে তাৎক্ষনিক তাকে বহিস্কার করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
আবারও কৌশলে একই বিদ্যালয়ে পদায়ন করেন জাকির হোসেন মহসিন। এরপর একাধিকবার এমপিওভুক্তির আবেদন করলেও অযোগ্যতার কারনে তার আবেদন বাতিল করা হয়। সম্প্রতি পুনরায় তথ্য জালিয়াতি করে অনলাইন আবেদন করলে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুল হকের।
তিনি তাৎক্ষনিক শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিনের এমপিওভুক্তির আবেদন ফেরৎ পাঠানোর জন্য উমাশিঅ/বানি/১১৬৭ স্মারকে চিঠি দিলেও এতে কর্ণপাত করেননি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহকে ম্যানেজ করে কাজটি করেছেন প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভুল হোক আর অযোগ্যই হোক আবেদন আমার দপ্তরে আসলে সেটা উপরে পাঠাতে হবে। বাকীটা বিবেচনা করবে উপর মহল’।
পরে এ বিষয়টি সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মো: আব্দুল ওয়াদুদ (অতিঃ দায়িত্বে) অবগত করলে তিনি জানান, উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ পবিত্র হজ্বে থাকায় তিনি অতিঃ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশে আসলে বিষয়টি তাকে অবগত করা হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ইনডেক্সধারী শিক্ষক। এমপিওভুক্তির আবেদন ফেরৎ দেয়ার চিঠি’র বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও তার দাপ্তরিক বিষয়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply