রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের সম্মতি সাপেক্ষে দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট।
গত সোমবার ১২ জুন) মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ৩৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও ২৮তম সিন্ডিকেট সভায় উপর্যুক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে দুটি সভা যথাক্রমে বিকাল ৩টা ও ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভাদ্বয়ে বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ অনুমোদন, বিগত সেমিস্টারের পাশকৃত শিক্ষার্থীদের ফলাফল, গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি, মেয়াদ উত্তীর্ণ রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শিক্ষা ছুটি, পরীক্ষা কমিটি ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুমোদন করা হয়। নতুন কয়েকটি বিভাগ চালুর ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এম.ও. রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও দেশবরেন্য শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সুরেশ রঞ্জন বসাক, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আশরাফুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. মাহফুজুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মো. রহমত উল্লাহ।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সুরেশ রঞ্জন বসাক, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান। উভয় সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ৪র্থ সমাবর্তনে ৩ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহন করবে। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের সম্মতি ও তারিখ পেলেই গ্র্যাজুয়েটদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে।
পূর্বের ৩টি সমাবর্তনের অভিজ্ঞতায় গঠন করা হবে কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহ। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল প্লে গ্রাউন্ডে ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরও বলেন, ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত একটি সামগ্রিক শিক্ষাপ্রদান এবং একটি সহায়ক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতি ইউনিভার্সিটির প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
এই আয়োজন শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের সফল সমাপ্তিকেই চিহ্নিত করবে না; বরং তাদের শিক্ষাগত যাত্রার সময় অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা শেয়ার করা এবং চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার প্রতিফলনের একটি বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে কাজ করবে।
এ উদ্যোগ মূলতঃ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বিদ্যায়তনিক উৎকর্ষ এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অটল উত্সর্গের প্রতিফলন। এটি তাদের শিক্ষাগত যাত্রার একটি মাইলফলক, আগ্রহী শিক্ষার্থী থেকে দায়িত্বশীল বিশ্ব নাগরিকে রূপান্তরের প্রতীক।
উল্লেখ্য, দেশের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালে দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রসারে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। পথচলার সাফল্যের ২০ বছরে ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল প্রথম, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারী দ্বিতীয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তৃতীয় সমাবর্তন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেটের বটেশ্বরের মনোরম ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশের সুবিশাল ও দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, অর্থনীতি, ব্যবসা প্রশাসন, আইন ও বিচার এবং ইংরেজি বিভাগে সিলেট বিভাগের চার জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছেন।
এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা গুগল, অ্যামাজন, নিয়ইয়র্ক স্টক এক্সচ্যাঞ্জ ছাড়াও দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে ভালো ডি অবস্থান গড়ে নিয়েছেন। বিসিএস ছাড়াও জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও এ বি
শ্ববিদ্যালয়ের সুমান দেশজুড়ে। জাতীয় ক্রিকেট দলে ৪ জন খেলোয়ার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী। সাবেক অধিনায়ক ও ফিল্ডিং কোচ রাজিন সালেহ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply