1. sm.khakon@gmail.com : admin :
  2. rayhansumon2019@gmail.com : rayhan sumon : rayhan sumon
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

ছবি এঁকে প্রতিবাদ : হবিগঞ্জে পরিবেশ দূষণ তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে হবিগঞ্জে পরিবেশ দূষণ তৎপরতা ও অসেচতনতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এতে করে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছেছে নদী, খাল-বিল, হাওর, জলাশয় ও কৃষি জমি। বিনষ্ট হচ্ছে প্রাণ–প্রকৃতি। পানি দুশন, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ ইত্যাদি পরিবেশগত সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সোমবার (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে ছবি এঁকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা একথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখা, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও আর্ট এন্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জ রবিবার (৪জুন) চারুকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে “হবিগঞ্জ বাঁচাতে শিল্পদূষণ বন্ধ কর” শিরোনামে ছবি এঁকে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

“প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে – শামিল হই সকলে” এই প্রতিপাদ্যে বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন চিত্রশিল্পী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপ মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও গবেষক অধ্যাপক জাহান আর খাতুন, শিশু সংগঠক বাদল রায়, অলক দত্ত বাবু, চলচ্চিত্র পরিচালক মুক্তাদির ইবনে সালাম, ডা: আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, আর্ট এন্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ আশীষ আচার্য্য, কবি মনসুর আহমেদ প্রমূখ।মূল বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল।

কলকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য ও প্লাস্টিক কিভাবে আমাদের নদ-নদী, জলাশয় তথা প্রকৃতি, পরিবেশ –প্রতিবেশকে ধ্বংস করছে তা চিত্রশিল্পীদের অঙ্কিত ছবিতে ফুটে উঠে।

প্লাস্টিক বোতলের ভিতর ঢুকে গেছে প্রকৃতি, নদ-নদী, জলাশয় এমন ছবি এঁকেছেন কয়েকজন। সেই বোতলে দুষিত কালো কুচকুচে পানি। সেই পানিতে ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল, মৃত মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি জলজ প্রাণী। কয়েকজন এঁকেছেন দূষণে নদী, কৃষিজমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ এঁকেছেন কল-কারখানা থেকে নদী জলাশয়ে নিক্ষেপ করা হচ্ছে অপরিশোধিত বর্জ্য- সেই ছবি।

বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সমাজ চলমান বেপরোয়া ও অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এবং পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয়ের কথা একাধিকবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উৎসে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিত এর দাবি জানিয়ে আসলেও এ অঞ্চলের মাটি, পানি, বায়ু, শব্দ দূষণ থেকে বিরত রাখতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল দপ্তর এর কোন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না! যেজন্য ব্যাপক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা।

৮০’ র দশক থেকে শুরু হলেও গত এক দশক ধরে শিল্পদূষণ চরম আকার ধারণ করেছে। জেলার মাধবপুর থেকে শুরু করে আউশকান্দি পর্যন্ত গড়ে উঠেছে অনেকগুলো বৃহৎ ও মাজারী কলকারখানা। এইসব কল-কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নদী-নালা ও খাল বিলে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে হবিগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়ন এর লাখ লাখ মানুষ শিল্পদূষণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপে হবিগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো খাল, হাওর এবং বিল হয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সুতাং নদী, খাসটি নদী, সোনাই নদীর করাঙ্গী নদী, সোনাই নদী, কানাই নদী, বলভদ্র নদী স্পর্শ করে শেষ পর্যন্ত মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিবেশ ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে! এসব এলাকায় দূষণের তীব্র দুর্গন্ধ কালো ও দূষিত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। লোকজন দুর্গন্ধময় ও দূষিত পানির সাথে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্টসহ জটিল রোগে।

তোফাজ্জল সোহেল যুক্ত করেন, কৃষি কাজে সেচ ব্যবস্থার নামে শৈলজুড়া নামক খালটি পুনঃখনন করে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। ফলে বিভিন্ন কোম্পানির বর্জ্য সহজে খালের মাধ্যমে সুতাং নদীতে ছাড়া হচ্ছে।

যে কারনে শিল্পবর্জ্য দূষণে সুতাং নদীর পানি অসহনীয় দুর্গন্ধময় ও কালো কুচ হয়ে পড়েছে।বৃষ্টি মৌসুমে পানির কলো আবরণ ও দুর্গন্ধ কিছুটা কম থাকলেও শুষ্ক মৌসুমী ভয়াবহ চিত্র ধারণ করে।

ছবি আঁকায় অংশগ্রহণ করেন, আশীষ আচার্য্য, তুলি পাল, বিউটি ভৌমিক, পুষ্পিতা দাস, শ্রেয়শী গোপ, বর্ষা সূত্রধর, রাতুল দেব, সাগর দাস, অলোক গোপ, নিলয় রায় তুর্য, প্রবাল বৈদ্য সৃজন, প্রত্যাশা রায়, মিথিলা গোপ, অনামিকা সূত্রধর, আফরোজা আক্তার জলি, তন্মী রানী দাস, সজীব পাল, নার্গিস আক্তার মিসপা, লোকমান আহমেদ, প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী, তৃষ্ণা পাল, অন্বেষা সরকার কথা প্রমুখ।

 

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
বানিয়াচং মিরর  © ২০২৩, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD