একটা সময় ছিল যখন কলেজের রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ-কাউন্সিল ও নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হতো এই মিলনায়তনে। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডও পরিচালিত হতো এখানে। এককথায় এই মিলনায়তন ই ছিল উপজেলাবাসীর একমাত্র নানা অনুষ্ঠানের মুল জায়গা। নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত ছিল জনাব আলী সরকারি কলেজের এই মিলনায়তন।
কিন্তু কালের পরিক্রমায় দীর্ঘদিন ধরে এই মিলনায়তনটি সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তার এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। সংস্কার না হওয়ায় এটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এই মিলনায়তটি জনাব আলী সরকারি কলেজের পুকুরের পূর্বপাড়ে অবস্থিত। এটা মালিকানা উপজেলা পরিষদ হলেও অনুষ্ঠানাদি পালন করতে অনুমতি নিতে হতো কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিলনায়তনের উপরের অংশে টিন নেই। বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হচ্ছে ফ্লোর। দরজা-জানালা নেই। নেই বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থাও।
মিলনায়তনের ভিতরে দুইটা টয়লেট থাকলে সেটা আবর্জনা জমে নষ্ট হয়ে আছে। পশ্চিম দিকের গাইড ওয়াল না থাকায় পুকুরে ধ্বসে পরছে। সন্ধ্যা হলে সেখানে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশেপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাত যতো গভীর হয় এই মিলনায়তনের ভিতর একদল মাদকসেবীদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এলাকার বাসিন্দারা তাদের জ্বালানি রাখার কাজে ব্যবহার করছেন এই মিলনায়তনের বারান্দাসহ ভিতরের অনেকটা অংশ।
ইদানিং ছাত্রসমাজ ও রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই পরিত্যাক্ত মিলনায়তনকে ভেঙে আধুনিক মানের একটি মিলনায়তন গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। জনাব আলী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ফুয়াদ উল্লাহ খান জানান, বানিয়াচংয়ে সকল রাজনৈতিক দলের আন্দোলন-মিছিল মিটিংয়ের জায়গা ছিল এই মিলনায়তন। এটা ভেঙে নতুন করে উন্নতমানের একটা মিলনায়তন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।
এই বিষয়ে জনাব আলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শামসুজ্জামান খান বলেন, বিগত দিনে নতুন করে মিলনায়তন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবর অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। তারা কোন সাড়া দেননি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংস্কার করতেও আমাদের কোন বরাদ্দ নেই।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply