সারা দেশে তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলা শহরগুলোতে লোডশেডিং তুলনামূলক কম হলেও গ্রামাঞ্চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। এতে একদিকে তীব্র গরম অপরদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্টে আছে মানুষ। বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্টদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তীব্র গরম আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
রাতের বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিনের তুলনায় রাতে ভয়াবহ লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে এক দিকে তীব্র গরম অপর দিকে রাতের বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্টে আছেন উপজেলার বাসিন্দারা।
উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা মহল্লার বাসিন্দা আকরাম হোসেন জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। প্রতিদিন উচ্চ রক্তচাপসহ ঘুমের ওষুধ সেবন করে ঘুমাতে হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন হলো একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে রাতের বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো ঘুমাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। প্রতিদিন অন্তত ২০ ঘণ্টা উপজেলাবাসীকে বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি তীব্র তাপদাহেও মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ির জিনিসপত্র নষ্ট হওয়াসহ মানুষজনকে তীব্র কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকার ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। করাত কল, ধান, আটাসহ মসলা ভাঙার মিলগুলো বন্ধ থাকতে হচ্ছে। নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে রক্ষিত ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র মতে, বানিয়াচং উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
উপজেলার নন্দীপাড়ার বিদ্যুৎ গ্রাহক মহিনুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে মানুষজন রাতে ঘুমাতে পারছে না। শিক্ষার্থী রুমেল হাসান বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে পড়ার জন্য টেবিলে বসতে কষ্ট হয়। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাতে ঘুমাতেও পারি না।
বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমাদের কি করার আছে বলেন। কয়লা সংকটের কারণে কয়েকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট বন্ধ থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। উপজেলাতে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াটের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৯/১০ মেগাওয়াট। তিনি আশা করেন, আগামী কিছু দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply