বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে হাওড় পাড়ে বিথঙ্গল গ্রামে আখড়াটি অবস্থিত। যা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের জন্য অন্যতম তীর্থস্থান। এ আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা রামকৃষ্ণ গোস্বামী উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে ষোড়শ শতাব্দিতে ঐ স্থানে আখড়াটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এ আখড়ায় ১২০জন বৈষ্ণবের জন্য ১২০টি কক্ষ রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য হলেও এ আখড়াটি এখন পর্যটনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
ঐতিহাসিক এ আখড়াটি দেখতে প্রতিদিন শতশত নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোররা এখানে ভীড় করছেন। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে। এই আখড়াটি বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে দিনের পর দিন। ঐতিহাসিক এ নিদর্শনটি দেখতে হবিগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের দুর-দুরান্ত থেকে প্রতিনিয়তই লোকজন ছুটে আসছেন। বর্ষা মৌসুমে আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে নৌকায় চড়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে দর্শনার্থীরা পৌঁছে যায় বিথঙ্গল আখড়ায়।
এক সময়কার জরাজীর্ণ এ আখড়াটির ভবনগুলো বর্তমানে সংস্কার করায় আবার তার পুরনো জৌলুস ফিরেছে। ফলে দর্শনার্থীরা আবার ভিড় জমাচ্ছেন বিথঙ্গল আখড়াতে। প্রতিদিনি ই এই আখড়ায় নৌকাযোগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা পিকনিক করতে আসছেন এই ঐতিহাসিক স্থাপনায়। স্থানীয় বাসিন্দা এম এ কাদির বাবুল জানান, প্রতিদিনিই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় শতাধিক নৌকা আসে এই ঐতিহাসিক আখড়ায়।
পর্যটকরা এই স্থাপনার নিদর্শন ছবি উঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে এটি দেশ-বিদেশে থাকা নেটিজেনদের কাছে পৌছে যাচ্ছে সহসাই। হেমন্ত মৌসুমে হবিগঞ্জের কামড়াপুরের ব্রিজ হতে জীপযোগে সুজাতপুর হয়ে নৌকো যোগে, পায়ে হেটে কিংবা বর্ষা মৌসুমে হবিগঞ্জ কালারডুবা থেকে নৌকা অথবা বানিয়াচং আদর্শবাজার ও আজমিরীগঞ্জের শিবপাশা হতে নৌকা যোগে যাওয়া যায় বিথঙ্গল আখড়াতে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply