বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২আগস্ট) বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর এই মামলা দায়ের করেন। বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত দক্ষিণ-পূর্ব যাত্রাপাশার মৃত দরছ আলীর পুত্র ছানু মিয়া বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। বাদি ছানু মিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া হাসান মিয়ার বাবা।
মামলায় হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে মামলায় দৈনিক সমকাল পত্রিকার বানিয়াচং প্রতিনিধি ও দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার উপসম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমন, তুষার স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল মনসুর তুহিন, চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজল উল্লাহ খান, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে কর্মরত ফুয়াদ উল্লাহ খান ও ইতালি প্রবাসী রুহুল আমিনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলায় নিরপরাধ মানুষদের আসামি করায় উপজেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত,গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বানিয়াচং থানায় হামলা করে। এসময় হামলা ঠেকাতে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা বানিয়াচং থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরী ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply