অনেকটা আত্মগোপনে চলে গেছেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় এমপিও। গোপনে এলাকা ছেড়েছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার এলাকা ত্যাগের চেষ্টাও করছেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ সরকার পতনের আগের দিনই অন্যত্র চলে গেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন। দলের সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে হামলা-মামলার ভয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক নেতাকর্মী।

সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেছিলেন তারা। এরপর ৫ আগস্ট বিকাল থেকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিনে সকাল থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।

শুধু তাই নয়, দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও দলের কাউকে তা প্রতিরোধ করতে দেখা যায়নি। বানিয়াচংয়ে ১৫ ই আগস্ট ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে কোন কার্যক্রমও পালন করেনি উপজেলা আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হওয়া ৮ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তাছাড়া নিহত হওয়া পুলিশ সদস্যর পক্ষ থেকে তার পরিবার কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করেনি কেউ। তাবে উপজেলা বিএনপির নেতারা নিহত হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারকে মামলা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। মামলা করতে কাদের আসামী করা হবে সেটা নিয়ে দিনের পর দিন বিএনপির নেতারা আলোচনায় বসলেও কোন সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারেননি।

তবে বিশ্বস্ত একটি সুত্রে জানা গেছে শীঘ্রই মামলা দায়ের করা হবে। এই মামলা আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাদের জড়ানো হতে পারে বলে বিষয়টি ঠের পেয়ে আত্নগোপনে চলে গিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।