ব্রীজের কাছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করে রাখা হচ্ছে ফসলি জমিতে। আবার উত্তোলিত বালু পরিবহন করা হচ্ছে পুরনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনে। আর এ যানবাহন অধিক সংখ্যায় চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট ও পরিবেশের সাথে মানুষের জানমালেরও অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। ভয়াবহ পরিমাণ কার্বন উদগীরণকারী এসব যন্ত্রযান প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে মানুষের সুস্থ জীবন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলার কাজীরখিল এলাকায় খোয়াই নদীর ওপরে নির্মিত ব্রীজের প্রায় ২শ’ মিটারের ভেতর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ব্রীজ ও হাওর রক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ এর ‘খ’ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক ইত্যাদির ১ কিলোমিটার সীমানার ভেতরে মাটি বা বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বুধবার (৩১মে) সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রীজটির মাত্র ২শ’ মিটারের মধ্যে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় আবু তালেব, সাইদুল, খলিল, ছালেক, বিল্লাল, আনোয়ারসহ আরও কয়েকজন।
মাত্রারিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় হেলে পড়েছে কাজীরখিল ব্রীজ। ব্রীজের সাথে ৭০% ভেঙ্গে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নদী রক্ষা বাঁধ। সরকারের কোটি টাকায় নির্মিত বাঁধটিও এখন বালু উত্তোলনের কারণে হুমকিতে। শুধু বালু উত্তোলণই নয়, বালু পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাক, ড্রামট্রাক, ট্রাক্ট্রর ইত্যাদি।
স্থানীয় আসামপাড়া, বাল্লা রাজারবাজার-আমরোডে চলছে এ সব যানবাহন। সুত্র জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ এসব যানবাহন ভয়ঙ্কররকম কালো ধোঁয়া উদগীরণ করে। ২০০১ সালে ঢাকাসহ সারাদেশে পরিবেশ দূষণ রোধে টু স্ট্রোক ইঞ্জিন চালিত বেবিট্যাক্সি উঠিয়ে দেয়া হয়।
এরপর থেকে কালো ধোঁয়া নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের কাজ এককভাবেই করে চলেছে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব যানবাহন। যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ইটের ভাটার সম্মিলিত কার্বন নির্গমনের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনী ও ফুসফুস বিকল হওয়ার মত মারাত্মক রোগ-ব্যাধি বাড়ছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply