দীর্ঘ ১৭ বছর পর বানিয়াচংয়ে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের উপস্থিততে রাজপথ সরগরম হয়ে উঠেছে। তাদের এই পদচারণায় যেন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের বাধার মুখে ঠিকমতো রাজপথে কোনো দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি এই দলটি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর উপজেলার নেতাকর্মীসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকার পতনের পর থেকেই মুহুর্মুহু মিছিল আর ছোটখাটো পথসভায় দখল রেখেছেন বানিয়াচংয়ের অলিগলি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা সদরের প্রতিটি হাটবাজার বিএনপি নেতাকর্মীদে পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর থেকেই মাঠে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই বানিয়াচংয়ে মাঠে নেমে যান বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৫আগস্ট) গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উপজেলা সদরের নতুনবাজারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসাইন মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকীব মাখনের নেতৃত্বে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অবস্থান নিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে পূবালী ব্যাংকের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় মিলিত হন তারা। পথসভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসিনাসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি তোলেন নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকিব মাখন বলেন, ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার যে গুম, খুন, অত্যাচার রাহাজানি করেছে, তার বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আসতেই হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসাইন মারুফ বলেন , স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বাধার মুখে দীর্ঘ বছর রাজপথে ঠিকমতো দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। সরকার পতনের পর আমরা রাজপথ দখল নিয়েছি। তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বিগত দেড় যুগ আমরা ভয় এবং আতঙ্কের রাজত্বে ছিলাম। এর বিরুদ্ধে আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলনে আমরা আমাদের অনেক ভাই বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি। শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত থামেনি। তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply