দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। চাল থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে যথাযথ তদারকি না করার ফলে পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একের পর এক কারফিউ জারি এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা সমস্যায় পড়েছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতার অভিযানে পর শিক্ষার্থীরা বানিয়াচংয়ের বাজারগুলোতে সকাল থেকে মনিটরিং শুরু করেছে, যা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা প্রতিটি বাজারে টিম গঠন করে মনিটরিং চালাচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বানিয়াচং বড়বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দোকানে এই মনিটরিং করে তারা। বাজারের ভোক্তারা শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বড়বাজারের এক ক্রেতা আশরাফ মিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মের এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ।
পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহারা দেওয়া, এবং আজকের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখে আমার বেশ আনন্দ হয়েছে। আমরা এমন উদ্যোমী শিক্ষার্থীদের নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। খুচরা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীরা আজ বাজারে এসে আমাদের সবগুলো দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করেছেন। কেউ যদি অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে, তাকে বয়কটের কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করতে আসে, তাদের (শিক্ষার্থীদের) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply