বানিয়াচংয়ে ছান্দ প্রথার কোপানলে পড়েছেন যুবলীগ নেতা অলফুজুর রহমান। বিদ্যালয়ের সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে ছান্দ সর্দারের ঘোষণায় সমাজচ্যুত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী অলফুজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সমাজচ্যুত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গতকাল বুধবার (৩১মে) একটি লিখিত দায়ের করেছেন।
অলফুজুর রহমান উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত শহীদুর রহমান খানের পুত্র। অলফুজুর রহমান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার তোপখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে নতুন বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যালয়ের জমির পাশেই অভিযোগকারি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ তথ্যও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অলফুজ রহমানের পারিবারিক জমি রয়েছে। বিল্ডিং নির্মাণ করাকালে অলফুজের জমিতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একাংশের কলাম স্থাপন করায় তিনি ঠিকাদারকে কাজ করতে বাধা প্রদান করেন।
অলফুজুর রহমান বাধা প্রদান করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভপতি আসাদ খান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হামলা করে আহত করেন। বিগত ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ছান্দের (সাতটি মহল্লা মিলে গঠিত ছান্দ) পঞ্চায়েত ডাকা হয়। তৎকালীন ছান্দ সর্দার এনামূল হোসেন খান বাহার, সর্দার আবু তালেব তালহা, জামায়াত নেতা ইকবাল বাহার খানসহ কতিপয় লোক একতরফাভাবে অলফুজ রহমানের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে তাকে মহল্লার সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার ঘোষনা করেন।
এছাড়াও তাকে হাট-বাজারে ও রাস্তাঘাটে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি মহল্লার ফান্ডের টাকা থেকেও বঞ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। ইদানিং আবারো এলাকার সাবেক ছান্দ সর্দার মিলে কতিপয় লোকজন তাকে পুনরায় প্রাণনাশের হুমকিসহ সমাজচ্যুত করার জন্য পায়তারা করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী অলফুজ খান জানান, আমি নিরীহ একজন মানুষ। আমার দাদার দান করা জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশের জমিটিও আমাদের পরিবারের। নতুন করে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে আমার জমিতে কলাম স্থাপন করায় আমি প্রতিবাদ করেছি। অথচ মহল্লা ও ছান্দবাসী অযথা আমাকে সমাজচ্যুত করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে এলাকার সাবেক ছান্দ সর্দার এনামূল হোসেন খান বাহারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,সহকারি কমিশনার মানবাধিকার কমিশন,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply