1. sm.khakon@gmail.com : admin :
  2. rayhansumon2019@gmail.com : rayhan sumon : rayhan sumon
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

বিশেষ প্রতিনিধি
  • মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কামারিদের টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠেছে কামারশালা। পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় ধারালো দা, ছুরি ও চাপাতির বেচাকেনা। তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে বানিয়াচংয়ে কামারশিল্পীদের ব্যস্ততাও বাড়ছে। কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় দা, বটি, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো জিনিস তৈরিতে দম ফেলার সময় নেই কামারদের।

এ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। সারাদিন তপ্ত ইস্পাত গলিয়ে চলছে নতুন দা, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও ফুসরত নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ অবিরাম করছেন তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। কেউ ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার দণ্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন বড় বাজারে কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। তবে কারিগররা অভিযাগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম।

কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এ বছর প্রতি পিছ চাকু ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, দা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাপাতি ৬০০ টাকা কেজি, পশু জবাই করার ছুরি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করছেন কারিগররা। এছাড়াও পুরনো সব যন্ত্রপাতি শান দিতে গুণতে হচ্ছে ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছে বলে জানা গেছে। উপজেলার নতুনবাজারের কামার বিষু দেব জানান, ব্যবসা তেমন ভালো না। অল্প কিছু জিনিস আসছে সেগুলো পুড়িয়ে ধার করছি। যেহেতু ঈদ নিকটে। কাজের চাপ আরো বাড়তে পারে।

কামার কালিপদ ও সুকুমার দেব জানান, কোরবানি ঈদে আমরা প্রতিবছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে থাকি। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। আমাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

উপজেলা সদরের নতুনবাজারে বাজারে ছুরি,দা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, কোরবানি ঈদের কিছুদিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তিনি।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
বানিয়াচং মিরর  © ২০২৩, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD