ফ্যান নষ্ট থাকায় তীব্র গরমে কষ্ট করতে হচ্ছে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের। তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর জনজীবন। এরই মধ্যে বেড়েই চলেছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই সেবা নিতে প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান সঙ্কটের কারণে সেবা নিতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
ছেলে পেটের ব্যাথা আর জ¦ওর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন আয়েশা খাতুন। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাকে। অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই তিনি বলেন, ছেলের ব্যাথার চেয়েও যেন বেশি অসহনীয় এই গরম। অথচ,আমার বেডের ওপরে সিলিংফ্যান নেই। সারাদিন ছটফট করে পার করেছি। রাতটা কিভাবে কাটাবো ভেবে পাচ্ছিনা।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ফ্যান না থাকায় শিশু ওয়ার্ডে এক ভর্তিকৃত শিশুকে টেবিল ফ্যান দিয়ে বাতাস করছেন। অন্যদিকে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ থাকায় কয়েকটি ফ্যান নামে মাত্রই ঘুরছে। ফলে অনেক রোগীকেই হাতপাখা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। একই অবস্থা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কথা হয় শিশু তানিম নামে এক রোগীর মা আমিরন বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ফ্যান না থাকায় রোগীদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে চার্জের টেবিল ফ্যানটি নিয়ে এসেছি। যাতে আমার অসুস্থ ছেলের কষ্ট একটু হলেও কম হয়।
এদিকে শুক্রবার (২৬এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নষ্ট হয়ে যাওয়া ফ্যান মেরামত করতে এক মিস্ত্রি দ্রুত নিচে নামিয়ে ঠিক করতে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই হাল নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বিষয়টি তোলে ধরেন রোগীর স্বজনরা। বিষয়টি তোলে ধরা পর অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কমেন্ট করে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএইচএফপিও ডা: শামিমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সব ওয়ার্ডের ফ্যানগুলো মোটামুটি ঠিক আছে। তবে দুই একটা ফ্যান নষ্ট থাকায় সেগুলো মেরামতের জন্য দেয়া হয়েছে। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানতে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা কমিটির সভাপতি ও হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ জানান, বিষয়টি জানার পরপরই তাৎক্ষনিক আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও’র সাথে কথা বলেছি। কয়টা ফ্যান নষ্ট আর কয়টা ফ্যান লাগানোর দরকার সেটা আমাকে জানানোর জন্য। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই সমস্যার সমাধান করে দিব। পাশাপাশি তিনি আরো জানান, গত সংসদ চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আমার ডিও লেটার দেয়া আছে। আশা করছি দ্রুতই এগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply