আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে সোমবার (২২এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটায় হবিগঞ্জ শহরের চিড়াকান্দি এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা ও আজমিরীগঞ্জ থানার যৌথ অভিযানে আটক করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নামে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ৬ বছর যাবত তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়েও প্রকাশ্যে ছিলেন।
জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রক্যাশে থাকার কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ আজমিরীগঞ্জে নানা আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে। অবশেষে তাকে আটকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তাছাড়া তিনি বর্তমানে আবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একজন প্রার্থী, প্রতীক বরাদ্দের আগের দিন তাকে আটক করায় তার অনুসারীরা অনেকে তাকে ষড়যন্ত্রের শিকার দাবী করলেও সাধারন মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিগত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার বিভিন্ন অনিয়মে ভুক্তভোগী সাধারন জনগন। সরকারী বরাদ্দের টিউবওয়েল নিজ বলয়ের লোকজনকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নিজের মতের অমিল থাকার জেরে তাকে মারধরসহ তার টিএ/ডিএ আটক করে রাখা বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দের কাজ নিজে ভাগিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমেদ জানান,হবিগঞ্জ গোয়েন্দা শাখাকে সাথে নিয়ে আমরা যৌথভাবে মর্তুজা হাসানকে আটক করেছি,মর্তুজা হাসান বর্তমানে ডিবি কার্যলয়ে আছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply