বানিয়াচং উপজেলা সদরের দুই মহল্লাহবাসী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত হয়েছে অর্ধশত। এই ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় ১ জনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০জানুয়ারি) ঘাগরাকোনার পার্শ্ববর্তী খোলা মাঠে বেলা আড়াইটার দিকে ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের চাঁনপাড়া ও ঘাগরাকোনা মহল্লাহবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সুত্র জানায়, গত সোমবার খেয়া পারপারা নিয়ে চাঁনপাড়ার এক যুবককে মারধর করে ঘাগরাকোনাবাসী। এরই জের ধরে মঙ্গলবার যোহরের নামাজের পর হাওরে দুই মহল্লাহবাসী লোকদের ঘাগরাকোনা হাওরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই মধ্যে চাঁনপাড়া মহল্লাহবাসী খবর পান তাদের লোককে মারধর করছে ঘাগরাকোনাবাসীর লোকেরা।
একপর্যায়ে বেলা আড়াইটার দিকে চাঁনপাড়া মহল্লাহবাসী তাদের এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘাগরাকোনাবাসীর উপর হামলা চালায়। হামলায় বাড়ি-ঘর ভাংচুরের পাশাপাশি কয়েকটি বসতবাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ আনে ঘাগরাকোনাবাসী। এমনকি পুুরুষশুণ্য বাড়িতে মহিলাদের উপর হামলা করে তাদের আহত করে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত কয়েকজন জানান।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সংঘর্ষে আহতরা চিকিৎসা নিতে জরুরি বিভাগে লাইন ধরে আছেন। কেউ বা পরে আছেন বারান্দায়। তাদের চিকিৎসা প্রদান করতে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। মুমূর্ষূ অবস্থায় চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত জাহের আলীর পুত্র দিপু (৫০) মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে একই মহল্লার নেয়ামত উল্লাহর পুত্র ইলিয়াছ (৬৪) মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিলে তারা গ্রেফতার এড়াতে চিকিৎসা নিয়ে নিজনিজ এলাকায় চলে যান।
সংঘর্ষের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বানিয়াচং থানার সেকেন্ড অফিসার অমিতাভ তালুকদার দৈনিক আমার হবিগঞ্জকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুরু মূলত: ছোট বাচ্চাদের খেয়া পারাপার নিয়ে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই দুই মহল্লাহবাসীর সংঘর্ষ থেমে যায়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেনি।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply