বানিয়াচং প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১ম আসলে ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শরীফখানী ইস্ট ওয়ারিয়র্স। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সময় শরীফখানী পশ্চিম ঈদগাহ মাঠে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় একতরফা ম্যাচে ৪০ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে অনির্বাণকে হারায় ইস্ট ওয়ারিয়র্স শরীফখানী। জয়ী দলের দিপু ১৮ বলে ২৯ ও দলের তারকা অলরাউন্ডার সাদেক ৯ বলে অপরাজিত ২৮* রান করেন।
এছাড়াও মিশু অপরাজিত ১১ বলে ২৪* ও টেপ টেনিস ক্রিকেটের বিনোদন সম্রাট ডি.জে রনি ১২ বলে ১৫ রান করেন। অনির্বাণের পক্ষে সুফি এবং রুবেল ১টি করে উইকেট লাভ করে।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়ারিয়র্স দলের অধিনায়ক ছোটন। দলীয় অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে অনির্বাণের ব্যাটারদের চেপে ধরে ওয়ারিয়র্সের বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে অনির্বাণ নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৯৩ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ সিলেট থেকে আগত তোফায়েল ১৬ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন।
এছাড়াও রুবেল ১৬,শিহাব অপরাজিত ১৩* ও অভিজ্ঞ এমদাদ ১২ রান করেন। ওয়ারিয়র্সের পক্ষে সাদেক ও ডি.জে রনি ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। অপরাজিত ২৮* রান ও ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সাদেক।
বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাব (বিসিসি’র) তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ও বানিয়াচং প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহবায়ক শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী সৈয়দ সুহেল রানা’র সভাপতিত্বে ও জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাবের অলরাউন্ডার মুশফিকুর রহমান বাবলুর সঞ্চালনায় ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাব ও বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার ও বর্তমানে ঢাকাস্থ অগ্রণী ব্যাংকের গুলশান ব্রাঞ্চের প্রিন্সিপাল অফিসার জনাব নেছার আহমেদ মিশুক।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি মনিরুল আলম, ইকবাল হুসেন খান মনি, জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ও বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ইউ/পি সদস্য ইশতিয়াক হুসেন লেমন, বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বাবলু,বানিয়াচং ক্রীড়া সংস্থা’র সদস্য বাবুল মিয়া,শরীফখানী মহল্লার আবুল কালাম,জুরাসিক ক্লাবের সাবেক কৃতি অলরাউন্ডার ও পাওয়ার হিটিং ওপেনার ইকবাল হুসেন নিপ্পন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াচং কনসালটেন্সি’র পরিচালক জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাব বিসিসি’র তারকা লেগ স্পিনার বিসিসি’র বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ আকবর আখঞ্জি জুনেদ, জুরাসিক ক্লাবের অন্যতম সংগঠক আইডিএলসি ফাইন্যান্স হবিগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার কাওছার আহমেদ সুহাগ, বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাব (বিসিসি’র) দপ্তর সম্পাদক ও শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাহির আলম শিপন,আরসি পাড়া ক্রিকেট টীমের পরিচালক ও বিসিসি’র সদস্য আজমালুল করিম আজমল,জাহিদুর স্পোর্টস এর স্বত্ত্বাধিকারী জাহিদুর রহমান,সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স এর অফিসার ও সাবেক জুরাসিকের পেসার মওদুদ আলী আখঞ্জী ,জুরাসিক ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স হবিগঞ্জ শাখার চাকুরীজীবি শহীদ আলী আখঞ্জী,আইডিএলসি ফাইনান্স হবিগঞ্জ শাখার অফিসার ও জুরাসিকের সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ মাসুদুর রহমান মাসুদ,সৌদিআরব প্রবাসী জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় আহমেদ সুহাগ, জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাবের তারকা অলরাউন্ডার মাহমুদুল হাসান মোহন, জুরাসিক ক্লাবের সাবেক অলরাউন্ডার শামীম খান, জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাবের অন্যতম সেরা ব্যাটার নিশাদ সর্দার।
এছাড়াও জুরাসিক ক্লাবের রনি মিয়া, ডালিম মিয়া,গোলাম নাফিস নাবিল,মুক্তাদির, সাব্বির, রামিম ও তানভীরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ফাইনাল ম্যাচের সময় জুরাসিক ক্রিকেট ক্লাব গঠন ও ক্লাবকে আজকের অবস্থানে আসতে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা দেয়া হয় ক্লাবের সাবেক পাঁচ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা ইশতিয়াক হুসেন লেমন, নেছার আহমেদ মিশুক, সুজিত কুমার দত্ত, জনাব মাহফুজুর রহমান মামুন ও আকরাম আখঞ্জী আবিদকে। তার মধ্যে আকরাম আখঞ্জী আবিদকে মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হয়।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন আরসি পাড়া’র অলরাউন্ডার মুবিন। টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সৈয়দ জাকরিন জাকি।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান (২৫৩) করেন ফ্রেন্ডস ক্লাবের ওপেনার মারুফ। সর্বোচ্চ উইকেট (২০) টি পান চ্যাম্পিয়ন দল শরীফখানী ইস্ট ওয়ারিয়র্সের তারকা অলরাউন্ডার সাদেক। টুর্নামেন্টের প্রথম শতক,প্রথম হ্যাট্রিক ও সেরা ক্যাচের পুরস্কার পান রিতা স্পোর্টিং ক্লাবের তিন খেলোয়াড় পলাশ,সাব্বির ও সাকিব। টুর্নামেন্টের মূল আকর্ষন ফেয়ার প্লে ট্রফি দেয়া হয় আরসি পাড়া ক্রিকেট টীমকে।
ফাইনালে ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন শহীদ আলী আখঞ্জী ও নিশাদ সর্দার। স্কোরার হিসেবে ছিলেন সাব্বির রহমান ও অনলাইন লাইভ সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন “শহীদ আফ্রিদি ক্রিয়েশন” এর স্বত্ত্বাধীকারী শহিদ মিয়া।
আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সৈয়দ সুহেল রানা ও মাহমুদুল হাসান মোহন।
বানিয়াচং প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বানিয়াচংয়ে শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন “বানিয়াচং মিরর”।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply