বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টানা তিন ম্যাচে বড় জয়ে নেট রান রেটেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে উইলিয়াসন বাহিনী।
শুক্রবার (১৩ই অক্টোবর) ভারতের চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৮ উইকেট ও ৭.১ ওভার বাকি থাকতে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের আরও কাছে নিউজিল্যান্ড!
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের ১ম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারায় টাইগাররা।বোল্টের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে হেনরির হাতে ধরা পড়ে লিটন।
প্রতিভার কিছু ঝলক দেখিয়ে ৪টি চার মেরে ফারগুসনের ট্রেপে পড়ে শর্ট ফাইন লেগে কনওয়েকে সহজ ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৬ রানেই ফেরে অনভিজ্ঞ বাংলাদেশী ওপেনার তানজিন তামিম।এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলো প্রস্তুতি ম্যাচ গুলোতে ঝড় তোলা এই তরুণ।
৪০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দ্রুতই ৫৬ রানের ভিতরে ৪ উইকেট হারিয়ে মহা বিপদে পড়ে।ফারগুসনকে পুল শর্ট করতে গিয়ে হেনরির সহজ ক্যাচে ৩০ রান করে ফেরে ফর্মে থাকা মিরাজ।একই রানে পার্ট টাইমার ফিলিপস এর বলে মাত্র ৭ রান করে ফেরে শান্ত।
৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন ভিষণ চাপে তখন জুটি গড়ে দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব ও মুশফিক। দলীয় ১৫২ রানে পর পর দুই দলে ছয় হাকাতে গিয়ে ফারগুসনের বলে মিস টাইমিং হয়ে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ফেরে দলীয় অধিনায়ক সাকিব।
সাকিবের পর মুশফিকুরও বেশিদূর দলকে টানতে পারেনি! দলীয় ১৭৫ রানে ৬৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে হেনরির বলে সরাসরি বোল্ড হয় এই উইকেট কিপার ব্যাটার।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছিলো সেই তৌহিদ হ্নদয় টানা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে এই ম্যাচেও মাত্র ১৩ রান করে ফেরে। বোল্টের বলে সান্টনারের ক্যাচে পরিনত হওয়ার পূর্বে ২৫ বলে মাত্র ১৩ রান করে হ্নদয়।
১৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন ২০০ এর ভিতরে অলআউট হওয়ার সঙ্কায় ঠিক তখনই দলের ত্রাতা হয়ে ৪৯ বলে অপরাজিত ৪১* রানের ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকিদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে মাত্র ২৪৫ রান করতে সক্ষম হয়।
এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এসেছে অনভিজ্ঞ একটি দল নিয়ে। দলে নেই কোন বিকল্প ওপেনার ও বিকল্প টপঅর্ডার ব্যাটার। এজন্যই টানা ব্যর্থতার পরও তানজিনকে খেলাতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ দল। ফারগুসন ৩টি এবং বোল্ট ও হেনরি ২টি করে উইকেট লাভ করে।
২৪৬ রানের টার্গেটে শুরুতেই বাংলাদেশকে বেকথ্রো এনে দেয় বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
কিউইদের দলীয় ১২ রানের মাথায় ফর্মে থাকা ভারতীয় বংশদ্ভূত অলরাউন্ডার রাচী রাবিন্দ্র কে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরায় ফিজ।আগের ম্যাচ গুলোতে রান করে উড়তে থাকা রাবিন্দ্র ফেরে মাত্র ৯ রান করে।
১২ রানে প্রথম উইকেট পেলেও সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ! উল্টো আলগা বোলিং করে ও হাফ কিছু সুযোগ মিস করে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার ও দলীয় অধিনায়ক উইলিয়ামসন আগের দুই ম্যাচে ইঞ্জুরির কারনে দলের বাহিরে থাকলেও এই ম্যাচে ফেরেই ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে ৭৮ রান করে ইঞ্জুরি নিয়ে নেমে যায়।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৬৭ বলে ৮৯ রানের বিস্ফোরক অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকে মিচেল। কনওয়ে করে ৪৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর ও সাকিব ১টি করে উইকেট পায়।
অসাধারণ গতিশীল বোলিং করে ৪৯ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশকে ২৫০ এর নিচে আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ফারগুসন। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠে কিউই এই পেসারের হাতেই।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply