শারদীয় দুর্গোৎসবের আর বেশি দিন বাকি নেই। কৈলাস থেকে মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা। দেশজুড়ে তাই চলছে দেবী বন্দনার প্রস্তুতি। এরই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচংয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিও এখন শেষপর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিমা তৈরিতে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। অধিকাংশ মন্ডপেই প্রতীমা তৈরীর কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু চলছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ।
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুভ মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। বরাবরের মতো এবারও সপ্তমী,অষ্টমী ও নবমী পূজার সন্ধ্যায় মন্ডপগুলোতে থাকবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর দশমী তিথিতে ঘোড়ায় চেপেই বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা।
এবার বানিয়াচং উপজেলায় মোট ১২৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে সার্বজনীন পূজামণ্ডপ রয়েছে ১২২ আর পারিবারিক পূজামণ্ডপ রয়েছে ৩টি। মাণ্ডপ ও দেবীর সাজসজ্জা শেষে ঢাকের বাদ্য শুরু হলেই উৎসবে মেতে উঠবে হিন্দু সস্প্রদায়।
এরই মধ্যে বানিয়াচংয়ের সবকটি পূজামণ্ডপে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয় জিআর প্রকল্পের ৫০০ কেজি করে মোট ৫৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়ার তালিকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। তিনি জানান, বরাদ্দকৃত চাল আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পূজামণ্ডপের সভাপতিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা সদরের রায়ের পাড়ার রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, কালীবাড়ি, বুড়া শিববাড়ি ও কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে পুরোদমে ব্যস্ত রয়েছেন পূজারীরা। ইতিমধ্যে তুলির শেষ টান দিয়েছেন দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক ও গণেশের গায়ে।
আর পুরো বিষয়টি আরও দৃষ্টিনন্দন করতে মৃৎশিল্পীরা মুল প্রতিমার পাশাপাশি তৈরি করেছেন পুরানের নানা চরিত্র। এ প্রসঙ্গে মৃৎশিল্পী দুলাল পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। রঙ এর শেষ আঁচড় ও দেয়া হয়েছে প্রতিটি প্রতিমাতে।
বাানিয়াচং পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু মাধব দেব জানান, পূজার সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করা হয়েছে। যে কোনো নাশকতা এড়াতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসাইন জানান, আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যাপক আকারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলার সব পূজা মণ্ডপগুলোতে পুলিশী নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। পূজা শুরুর দিন থেকে পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। আশা করছি গত বছরের মতো এবার ও বানিয়াচং উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply