বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের রাগ ঝেড়ে ১৩৭ রানের বড় জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড। সব বিভাগে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার ১০ (অক্টোবর) ভারতের ধর্মশালা’র হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টস জিতেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ!টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে এলোমেলো বোলিংয়ে পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও ছিলো কনফিডেন্সের অভাব। বাংলাদেশের বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের সঠিক ফায়দা তুলে ইংলিশ ওপনাররা ১৭.৫ ওভারেই স্কোর বোর্ডে ১১৫ রান তুলে ফেলে। দলীয় ১১৫ রানে সাকিবের বলে লাইন মিস করে ৫২ রান করে আউট হয় জনি বায়োস্টো।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মালাট-রুট তুলেন ১৫১ রান। এই জুটিই মূলতো বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে বের করে দেয়! দলীয় ২৬৬ রানে ১৪০ রানের আউটস্ট্যান্ডিং ইনিংস খেলে শেখ মাহদীর বলে আউট হয়ে ফেরে।ডেঞ্জার ম্যান বাটলার ১০ বলে ২০ রান করে ফেরে শরিফুলের বলে।
ইংল্যান্ডকে ৪০০ রানের নিচে বাংলাদেশ যে আটকে রাখতে পেরেছে সেটা সম্ভব হয়েছে শরীফুলের ৪২ তম ওভারের শেষ দুই বলে রুট(৮২) ও লিভিংস্টোন(০) কে ফেরানোর ফলে।
শেষের দিকে শেখ মাহদীর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এবং শরীফুলের স্মার্ট বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ৩৬৪ রানে আটকে রাখে টাইগাররা। মাহদী ৪টি ও শরীফুল ৩টি উইকেট পায়।
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং করে ১০ ওভারে ৫২ রানে জনি বায়োস্টোর উইকেট পায়।এছাড়াও তাসকিন ১টি উইকেট পায়।
৩৬৫ রানের টার্গেটে শুরুতেই ট্রপলি’র তুপে পড়ে বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা। দলীয় ২৬ রানের ভিতরই ফিরে যান তানজিম তামিম,নাজমুল শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৩ জনই মঈন আলীর জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া ট্রপলির বলে ফেরে।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে এদিন সাবলীল ব্যাটিং করে রান খড়ায় ভুগতে থাকা লিটন। একপ্রান্ত থেকে যাওয়া আসার মিছিলে লিটন খেলেছে তার নিজের স্টাইলে। দলীয় ৪৯ রানে ওকস এর ১ম শিকারে পরিনত হয়ে মাত্র ৮ রানেই ফেরে মিরাজ।
৫ উইকেট জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।কিন্তু দলীয় ১১৫ রানে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায় লিটনের আউটে! ওকস এর বলে ৫ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার পূর্বে ৬৬ বলে ৭৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে লিটন।লিটনের আউটের পর বাংলাদেশ যে ম্যাচে একটু ছিলো সেটিও মুশির আউটের পর শেষ হয়ে যায়। দলীয় ১৬৪ রানে ট্রপলির চতুর্থ ও দলীয় ৬ষ্ঠ শিকারে পরিনত হয়ে ফেরেন মিস্টার লিটল ম্যান।
তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে হারিয়ে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২২৭ রানে।শেষ দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত তৌহিদ(৩৯) ছাড়া কেউই বড় স্কোর করতে পারেনি।
ইংলিশ বোলারদের মাঝে ট্রপলি ৪টি ও ওকস ২টি উইকেট পায়।কারেন,উড,লিভিংস্টোন ও রশীদ ১টি করে উইকেট পায়।
১৪০ রানের মাস্টার ক্লাস ইনিংসের কল্যাণে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় ডেভিড মালান।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply