হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কোন অনুষ্ঠান করতে গুনতে হয় আকাশ ছোঁয়া ভাড়া। শিল্পকলার নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ফোক সম্রাট সৈয়দ আশিকুর রহমান। মঙ্গলবার (৩অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত আইডিতে এসব তোলে ধরেন শিল্পী আশিক।
তিনি লিখেন, শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়াম ভাড়া ১২৫০০ টাকা। যা শিল্পীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে খরচ মিটিয়ে অনুষ্ঠান করা প্রায় অসম্ভব।
জীবন সংকেতের সভাপতি সান্তনু ধর এর ভাষ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম ভাড়া ভ্যাটসহ ৩ হাজার ৫শ টাকা টাকা। ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির বড় অডিটোরিয়াম ভাড়া ভ্যাটসহ ৫ হাজার ১শ টাকা।
কিন্তু আমাদের হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনের ভাড়া সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৫শ টাকা। তাই এতো টাকা ভাড়া দিয়ে অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রাম করার কথা শিল্পীরা আর চিন্তাও করেন না। বিভিন্ন নাটকের সংগঠন যারা একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে বহুদিন নাটকের রিহার্সেল করতে হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে নাটক রিহার্সালের জন্য কোন রুম বরাদ্দ নাই। যার জন্যে হবিগঞ্জের নাট্যাঙ্গন আজ হুমকির মুখে। অন্যদিকে শিল্পকলা একাডেমীর পিছনের পুকুর কেটে বানানো হয়েছে সুইমিং পুল। যেখানে আমাদের শহরের বাচ্চারা সাঁতার শিখতে পারে। এটা আমাদের জন্য খুবই উপকারী।
বিকাল ৪ টায় শিল্পকলা একাডেমির মুল গেইটে ঝুঁলে থাকে তালা। যার জন্য শিল্পীরা অবাধে শিল্পকলায় গিয়ে একটু আড্ডা দিবে তার কোন ধরনের সুযোগ নেই। আমার দেখা সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যার পর শিল্পীদের একটা মিলনমেলা তৈরি হয়, যেখানে বিভিন্ন নাটক, গান, কবিতা নিয়ে কথা বলেন শিল্পীরা।
মুল কথা শিল্পী বিমুখ শিল্পকলায় পরিণত হয়েছে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী। যে শিল্পকলায় শিল্পীরা অবাধে যাতায়াত করতে পারেনা, সেখানে হবিগঞ্জ শিল্পাঙ্গন ভবিষ্যত যে অন্ধকার এটা বোঝার জন্য গবেষণার প্রয়োজন নেই। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, জেলার সুধী সমাজের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিল্পী সৈয়দ আশিকুর রহমান।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply