পানি মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য। পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন কল্পনা করা যায় না। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে ছয় নাম্বারে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য সুপেয় বা বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা।
তারই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খানের প্রচেষ্টায় দুই উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের ও বেশি আর্সেনিক মুক্ত গভীর টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে দুই উপজেলার জনগন পাচ্ছে আর্সেনিক মুক্ত সুপেয় বিশুদ্ধ পানি।
পানি ছাড়া আমাদের জীবন ধারণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের শরীরের ৩ ভাগের ২ ভাগই পানি। জনগনের স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়নে গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ পানির উৎস স্থাপনের জন্য দুই উপজেলায় প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া মহল্লায়, মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসায় সাড়ে ৪ হাজারের ও বেশি আর্সেনিক মুক্ত গভীর টিউবওয়েল স্থাপন করে দিয়েছেন এমপি মজিদ খান।
আজমিরীগঞ্জের নগর গ্রামের ষাটোর্ধ জমির আলী বলেন, আগে আমাদের এলাকাতে কোন আর্সেনিক মুক্ত গভীর টিউবওয়েল ছিল না। এমপি মজিদ খান আমাদের টিউবওয়েল দেয়াতে আমরা সবাই এখন আর্সেনিক মুক্ত পানি পান করতে পারছি।
বানিয়াচং ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের তালেব উদ্দিন জানান, বর্তমান সময়ে একটা গভীর টিউবওয়েল বসানো আমাদের মতো মানুষের সম্ভব না। কিছুদিন পূর্বে এমপি সাহেবের কাছে আবেদন করায় তার পরপরই এলাকার সুবিধার্থে তিনি একটি গভীর টিউবওয়েল দিয়েছেন।
বানিয়াচং উপজেলা সদরের জামালপুর মহল্লার গোলাম হোসেন মিয়া জানান, এলাকাবাসী যাতে সুপেয় পানি পান করতে পারে সেই জন্য এমপি মহোদয় আমাদেরকে একটি টিউবওয়েল দিয়েছেন। এলাকাবাসী চিরকৃতজ্ঞ তার কাছে।
বানিয়াচং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আলী আজগর জানান, এমপি মহোদয়ের দেয়া টিউবওয়েল গুলো আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে স্থাপন করে দিয়েছি। শিডিউল অনুযায়ী আমরা শতভাগ চেষ্টা করেছি ঠিক মতো স্থাপন করার।
হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান বলেন, গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ পানির উৎস স্থাপনের জন্য সকল ক্ষেত্রে এই গভীর টিউবওয়েল স্থাপন করে দিয়েছি।
একটা সময় এ দেশে সুপেয় খাবার পানির বেশ অভাব ছিল। গভীর টিউবওয়েল তেমন একটা ছিল না। অনেকেই সে সময় দূর-দূরান্ত থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতেন। এখন দুই উপজেলার অধিকাংশ বাড়িতেই গভীর টিউবওয়েল আছে। সবাই এখন সহজেই সুপেয় পানি পান করতে পারেন এর ফলে প্রান্তিক মানুষের জীবনমানও উন্নয়ন হচ্ছে।
Designed by: Sylhet Host BD
Leave a Reply